# মোহাম্মদপুর ইসলামিক সেন্টার (হাফেজিয়া জামিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা) # পূরবি জেনারেল ইস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড # সন্ধানী লাইফ ইস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড # সন্ধানী ক্রেডিট ও অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড # পান্না টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড # পান্না স্পিনিং মিলস লিমিটেড# এমিকো ল্যাবরেটারিজ লিমিটেড # মোনা ফাইন্যান্সিয়াল কনসালটেন্সি এন্ড সিকিউরিটিজ লিমিটেড # মোনা গ্রুপ অব গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড # মোনা প্রোপার্টিজ কমপ্লেক্স লিমিটেড। # মোনা প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিস লিমিটেড # চেয়ারম্যান ও পরিচালক মধুমতী ব্যাংক লিমিটেড।

৪। পারিবারিক জীবন: আলহাজ্ব মকবুল হোসেনর পারিবারিক জীবন অত্যন্ত সুখময়, সুশৃঙ্খল ও সাজানো। তাঁর স্ত্রী আলহাজ্ব গোলাম ফাতেমা তাহেরা খানম মোনা একজন সফল নারী। তিনি ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ নেত্রী ছিলেন এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনসহ বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সহ সভানেত্রী। আলহাজ্ব মোনা হোসেন অনেক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। আলহাজ্ব মকবুল হোসেন ৩ ছেলে সন্তানের জনক। তার সন্তান ও নাতি নাতনিরা বিদেশের সুনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে বর্তমানে তাদের নিজেস্ব বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অধিকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তার বড় ছেলে আহসানুল ইসলাম টিটু টাংগাইল ৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য।

৫। রাজনীতিক জীবন: বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আলহাজ্ব মকবুল হোসেনর রাজনীতিক জীবন শুরু হাই স্কুলে পড়া অবস্থায়। জগন্নাথ কলেজে অধ্যয় দশকে গণআন্দোলনের অন্যতম সংগঠক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্নেহধন্য ছিলেন আলহাজ্ব মকবুল কারণে ছাত্র অবস্থায় তাকে কারাবরণ করতে হয়। ১৯৬৬ সালে জগ্ননাথ কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব। ১৯৬৮-৭১ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ কল্যাণ ইন্সটিটিউট শাখা সভাপতি ছিলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান ছিলেন। তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা সবাই সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে তিনি দ্বিতীয়বার কারাবরণ করেন। ১৯৯০ সালে গণআন্দোলন ও গণ অভ্যুত্থানেরও একজন সফল সংগঠক। ১৯৯৬ সালে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে তৎকালীন ঢাকা-৯ ধানমন্ডি মোহাম্মদপুর আসন থেকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগ ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোটের নিকট পরাজিত হলে উক্ত আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে তিনি পরাজয় বরণ করেন। এর পর তিনি আর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি। তিনি সর্বশেষ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য হিসেবে রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন।

৬। শিক্ষানুরাগী: আলহাজ্ব মকবুল হোসেন ছিলেন দেশের অন্যতম একজন শিক্ষানুরাগী মানুষ। তাঁর প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করছে হাজার হাজার শিক্ষার্থী। যা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য মাইলফলক। তাঁর প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হল; আলহাজ্ব মকবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ সিটি ইউনিভার্সিটি এম.এইচ.শমরিতা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল। এম.এইচ, শমরিতা ডেন্টাল কলেজ এম. এইচ শমরিতা নার্সিং ইন্সটিটিউট সিটি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউট সিটি ইন্সটিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড আই টি মোহাম্মদপুর ইসলামিক সেন্টার হাফেজিয়া জামিয়া মাদ্রাসা এবং এতিমখানা।

৭। ধর্মপরায়ণ: ব্যক্তিগতভাবে আলহাজ্ব মকবুল হোসেন মহোদয় ছিলেন একজন ধর্মপরায়ণ মানুষ। তিনি পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন সূরা ও আয়াতের ব্যাখ্যা জানতেন এবং অন্যদের সবসময় বিভিন্ন আমল করতে বলতেন। ধর্মীয় অনুরাগের বহিঃপ্রকাশই হল বিভিন্ন মাদ্রাসা ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠা। তিনি প্রতি বছর রমজান মাসে পরিবারসহ ওমরাহ্ এবং পবিত্র হজ্ব পালন করতেন। তিনি বিভিন্ন সভা-সমাবেশে ধর্মীয় উপদেশ দিতেন। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশগ্রহণ করতেন।

৮। সমাজসেবা: সমাজকল্যাণে আলহাজ্ব মকবুল হোসেনর অবদান ছিল অনস্বীকার্য । তরুণ বয়স থেকেই তিনি বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক কাজ করেছেন। তার নির্বাচনি এলাকা ধানমন্ডি-মোহাম্মদপুর, শ্বশুর বাড়ি টাংগাইল ও নিজের উপজেলা টুঙ্গীবাড়িতে সমাজসেবামূলক কার্যক্রম প্রতিনিয়ত করে থাকতেন। তাঁর গ্রামের বাড়িতে অসহায় মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান, পিতামাতার নামে একটা হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের আজীবন দাতা সদস্য।

৯। বঙ্গবন্ধুর একান্ত সহচর: ষাটের দশকে গণ-আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্নেহভাজন ছিলেন আলহাজ্ব মকবুল হোসেন। সে কারণে ছাত্র অবস্থায় তাকে কারাবরণ করতে হয়েছিল।

১০। স্বীকৃতি বা অর্জনসমুহ: আলহাজ্ব মকবুল হোসেন শিক্ষাক্ষেত্রে অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে রাষ্ট্রীয় পদকে ভূষিত হন। সফল ব্যবসায়ী হিসেবে তিনি সি,আই.পি. (Commercially important person) মর্যাদায় ভূষিত হয়েছিলেন। সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য শেরে বাংলা জাতীয় স্বর্ণপদক বঙ্গবন্ধুর জাতীয় স্বর্ণপদক, শহীদ সোহরাওয়ার্দী জাতীয় স্বর্ণপদক, শহীদ বদিউজ্জামান স্বর্ণপদক, বিচারপতি আবু সাইদ স্বর্ণপদক, আমরা সূর্যমুখী স্বর্ণপদক ও বাংলাদেশ উন্নয়ন সংসদ স্বর্ণপদক প্রাপ্ত হন।